ট্রানজিট, ট্রান্সশিপমেন্ট ও করিডোর কী

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৪:২০, সোমবার, ১ জুলাই, ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১
  • তিন বা ততোধিক দেশের সম্পৃক্ততায় পাওয়া যায় ট্রানজিট সুবিধা
  • ট্রানজিটে দ্বিতীয় দেশের ভূমি ব্যবহার করা হয় মাত্র
  • অন্য দেশের  অন্য অংশে পৌঁছানোর সুযোগ পেলে সেটা করিডোর
  • স্মারকের মূল বিষয়বস্তু হলো আঞ্চলিক যোগাযোগ

বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে সোশ্যাল মিডিয়ার ভাইরাল ইস্যু রেল ট্রানজিট। ভারতকে ট্রানজিট সুবিধা দেয়ার কারণে দেশ বিক্রি করাসহ সরকার বিরোধী নানান নেতিবাচক পোস্টে ছেয়ে গেছে সোস্যাল মিডিয়া। কিন্তু বিষয়গুলো সম্পর্কে সঠিক ধারণ না থাকায় অধিকাংশ মানুষ বিভ্রান্তিতে ভুগছেন।তাই বিষয়টির বিস্তারিত জানতে প্রথমেই ট্রানজিট, ট্রানশিপমেন্ট ও করিডোর সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে।

ট্রানজিট:

তিন বা ততোধিক দেশের সম্পৃক্ততায় পাওয়া যায় ট্রানজিট সুবিধা। ট্রানজিটে দ্বিতীয় দেশের ভূমি ব্যবহার করা হয় মাত্র। যেমন-বাংলাদেশের পণ্যবাহী গাড়ি ভারতের ভূমি ব্যবহার করে নেপাল বা তৃতীয় কোন দেশে গেলে ভারত বাংলাদেশের ট্রানজিট সুবিধা পায়। নেপাল-ভুটানে পণ্য পরিবহনে ২০২১ সালেই বাংলাদেশকে ট্রানজিট সুবিধা দিয়েছিল ভারত।

ট্রান্সশিপমেন্ট:

ভারতের পণ্যবাহী জাহাজগুলো বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে এসে তাদের পণ্যগুলো খালাস করে। তারপর বাংলাদেশের ট্রাকগুলো সেই পণ্য বহন করে ভারতের আসাম-ত্রিপুরার সীমান্ত পর্যন্ত গিয়ে আবার ভারতের ট্রাকে তুলে দিয়ে আসে এটা ট্রান্সশিপমেন্ট। ট্রান্সশিপমেন্ট স্থল বন্দর দিয়েও করা যায়, এতে অর্থনৈতিকভাবে বেশি লাভবান হওয়া যায়। অর্থাৎ ট্রান্সশিপমেন্টে ভূমি যার, যানবাহনও তার হতে হবে।

করিডোর:

একটি দেশের যানবাহন অন্য একটি দেশের ওপর দিয়ে নিজের দেশের অন্য অংশে পৌঁছানোর সুযোগ পেলে যে দেশটির উপর দিয়ে গেল সেটা হলো তাদের জন্য করিডোর। যেমন-ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে তাদের কোন যানবাহন বাংলাদেশের উপর দিয়ে ত্রিপুরা রাজ্যে গেলে ‘বাংলাদেশ’ হলো তাদের জন্য করিডোর। তবে এই জন্য টোল বা মাশুল দিতে হয়।  

উল্লেখ্য, গত ২৩ জুন বাংলাদেশ-ভারত রেল ট্রানজিট স্মারক সই করে। এতে দুই দেশের যোগাযোগ, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে অগ্রগতির পাশাপাশি নাগরিকদের যাতায়াত স্বাচ্ছন্দ্য ও গতি পাবে।

বাণিজ্য বিশ্লেষকরা বলছেন, স্মারকের মূল বিষয়বস্তু হলো আঞ্চলিক যোগাযোগ। ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ভারত মিয়ানমারসহ আশিয়ানভুক্ত দেশে পণ্য আমদানি-রপ্তানি করতে পারবে। এছাড়া ভারত, বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের মধ্যে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রবর্তনের দ্বার উন্মোচন হয়েছে বলে জানান তারা।

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article