৬০৯ কোটি টাকায় আরও একটি কার্গো এলএনজি কিনছে সরকার

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৬:৪৪, বুধবার, ৩ জুলাই, ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মেসার্স এক্সিলেরেট এনার্জি এলপি থেকে এই কার্গো এলএনজি আমদানির ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়।

৬০৯ কোটি ২৭ লাখ টাকায় একটি কার্গো এলএনজি কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারের ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। সরকারের সঙ্গে ‘মাস্টার সেলস অ্যান্ড পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট’ আছে—এমন কোনও দেশ থেকে কোটেশন সংগ্রহ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্পট মার্কেট থেকে কার্গো এলএনজিটি সংগ্রহ করা হবে। এ নিয়ে চলতি বছর মোট ২১টি কার্গো এলএনজি কেনার অনুমোদন দিলো ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

বুধবার (৩ জুলাই) মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয়) মাহমুদুল হোসাইন খান এক ব্রিফিংয়ে সভায় অনুমোদিত প্রস্তাবগুলো সম্পর্কে সাংবাদিকদের জানান। বৈঠকে মোট ছয়টি প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে।

সচিব মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মেসার্স এক্সিলেরেট এনার্জি এলপি থেকে এই কার্গো এলএনজি আমদানির ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে ব্যয় হবে ৬০৯ কোটি ২৭ লাখ ৬৫ হাজার ৮৯৭ টাকা (ভ্যাট ও ট্যাক্সসহ)। প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম পড়বে ১৩ দশমিক ৫৬ মার্কিন ডলার, যা আগে ছিল ১২ দশমিক ৯৭ মার্কিন ডলার।

জ্বালানি বিভাগের আরেক প্রস্তাবে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ (২০২১ সালের সবশেষ সংশোধনসহ)' অনুসরণে ‘সিলেট-১১ (উন্নয়ন কূপ) ও রশিদপুর-১৩ নম্বর কূপ (অনুসন্ধান কূপ) খনন’ শীর্ষক প্রকল্পের কূপ খনন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল) ও সিনোপেক ইন্টারন্যাশনাল পেট্রোলিয়াম সার্ভিস করপোরেশন, চায়নার মধ্যে চুক্তি সম্পাদনের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানান মাহমুদুল হোসাইন খান। এই খনন কার্যক্রমে ৪৪৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয় হবে বলে জানান তিনি।

এছাড়া রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সৌদি আরব ও রাশিয়া থেকে ডিএপি ও এমওপি সার কেনা, এডিবি, এএফডি, জিইএফ এবং জিওবির অর্থায়নে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘গ্রেটার ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট (বিআরটি, গাজীপুর-এয়ারপোর্ট)’ শীর্ষক প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর-আরপিডব্লিউ ১.২-এর ক্রয় প্রস্তাব এবং গাবতলী সিটি পল্লিতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ক্লিনারদের জন্য বহুতল আবাসিক ভবন নির্মাণ প্রকল্পের (তৃতীয় সংশোধিত) চারটি ভেরিয়েশন প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।

এর আগে অনুষ্ঠিত সরকারি অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে সেতু এলাকায় বিভিন্ন কাজের জন্য সরাসরি করায় পদ্ধতি অনুমোদন করা হয়েছে। আগামী শুক্রবার (৫ জুলাই) পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে এই সমাপনী অনুষ্ঠান হবে বলে জানা গেছে। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

Share This Article