সার্কভুক্ত দেশকে নিজস্ব মুদ্রা বিনিময়ের সুবিধা দেবে ভারত

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৬:৪৮, শুক্রবার, ২৮ জুন, ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১
ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই)
ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই)

দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা বা সার্কভুক্ত দেশগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, নেপাল, ভুটান, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এই দেশগুলোকে কারেন্সি সোয়াপ সুবিধা দেবে।

সার্কভুক্ত দেশগুলোর জন্য বিভিন্ন ধরনের ছাড় দিয়ে ২৫ হাজার কোটি রুপির নতুন কারেন্সি সোয়াপ বা নিজস্ব মুদ্রা বিনিময়ের সংশোধিত কাঠামো চালুর কথা জানিয়েছে রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই)। অবশ্য এ জন্য আরবিআইয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংককে দ্বিপক্ষীয় সোয়াপ চুক্তি করতে হবে। খবর এনডিটিভি ও দ্য ইকোনমিক টাইমসের।

দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা বা সার্কভুক্ত দেশগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, নেপাল, ভুটান, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এই দেশগুলোকে কারেন্সি সোয়াপ সুবিধা দেবে। আগামী তিন বছরের জন্য কাঠামোটি করা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত ঘোষণা দিয়েছে আরবিআই।

আরবিআই জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদনক্রমে ২০২৪ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত সার্কভুক্ত দেশগুলোর জন্য সংশোধিত কারেন্সি সোয়াপ চুক্তি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সুবিধা নেওয়ার মাধ্যমে ভারতীয় মুদ্রাকে সমর্থন দিলে সার্কভুক্ত দেশগুলো বিভিন্ন ছাড় পাবে। এ ছাড়া পৃথক সোয়াপ ব্যবস্থার মাধ্যমে মার্কিন ডলার ও ইউরোতে ২০০ কোটি ডলার অদলবদল চুক্তি বজায় রাখবে আরবিআই।

দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থা চালু না হওয়া পর্যন্ত সার্কভুক্ত দেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা-সংকট ও লেনদেন ভারসাম্যের ঘাটতি মেটাতে ২০১২ সালের নভেম্বরে সার্ক কারেন্সি সোয়াপ চালু করে ভারত। গত বছরের ১১ জুলাই প্রথমবারের মতো ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য শুরু হয় মার্কিন ডলারের পাশাপাশি রুপিতে। প্রথমে রুপিতে শুরু হলেও উভয় দেশের বাণিজ্য ব্যবধান কমে এলে বাংলাদেশি মুদ্রা টাকায়ও এ বাণিজ্যের সুযোগ রয়েছে।

চার কারণে রুপিতে বাণিজ্য করার বিষয়টি সামনে এনেছে বাংলাদেশ ও ভারত। প্রথমত, ডলার-সংকটে রয়েছে উভয় দেশ। ফলে উভয় দেশ এতে লাভবান হবে। দ্বিতীয়ত, আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকদের দুবার মুদ্রা বিনিময় করার খরচ কমবে। তৃতীয়ত, লেনদেন নিষ্পত্তিতে সময় বাঁচবে। চতুর্থত, অন্য উদ্বৃত্ত মুদ্রা রুপিতে রূপান্তর করে লেনদেন নিষ্পত্তিতে ব্যবহার করা যাবে।

জানা গেছে, টাকা ও রুপিতে উভয় দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য করার আলাপ চলছে প্রায় এক দশক ধরে। ডলার-সংকট প্রকট আকার ধারণ করায় সম্প্রতি তা আলোর মুখ দেখেছে। কাজটি বাস্তবায়ন করতে বাংলাদেশের দুই ব্যাংক ভারতের দুই ব্যাংকে নস্ট্র হিসাব খুলেছে। এক দেশের এক ব্যাংক অন্য দেশের কোনো ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেনের উদ্দেশ্যে হিসাব খুললে সে হিসাবকে নস্ট্র হিসাব বলা হয়ে থাকে।

Share This Article