প্রস্তাবিত চার প্রকল্পে ২০ হাজার কোটি টাকা দেবে জাইকা
দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে জাইকা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সাথে কাজ করছে। স্থানীয় সরকারের ক্ষমতায়ন, সক্ষমতা বৃদ্ধি, স্থানীয় সড়ক যোগাযোগসহ বিভিন্ন প্রকল্পে জাইকা সহায়তা করছে৷ আশা করছি, এই বৈঠকের মাধ্যমে এই সহায়তা আরো বৃদ্ধি পাবে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) বাংলাদেশের অন্যতম সহযোগী প্রতিষ্ঠান। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জাইকার সহায়তায় ৯টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে৷ যার আর্থিক সহায়তার পরিমাণ ১১ হাজার ৩শ ৪৪ কোটি ৭২ লক্ষ টাকা৷’
বুধবার (৩ জুলাই) বিকালে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে জাইকার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হারা শোহেইর সঙ্গে বৈঠককালে উপস্থিত সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘জাইকার সহায়তায় বিদ্যমান প্রকল্পগুলোর পাশাপাশি আরো ৪টি প্রকল্প শুরু হতে যাচ্ছে। প্রকল্পগুলো হল উপজেলা প্রশাসন এবং উন্নয়ন প্রকল্প-২ (ইউজিডিপি-২), প্রস্তাবিত দক্ষিণ চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পানি সরবরাহ প্রকল্প, চট্টগ্রাম ওয়াসার অধীন চট্টগ্রাম পয়ঃনিষ্কাসন প্রকল্প ক্যাচমেন্ট-২ ও ৪ এবং হাওর বন্যা ব্যবস্থাপনা ও জীবিকা উন্নয়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়)।
তিনি আরো বলেন, ‘দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে জাইকা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সাথে কাজ করছে। স্থানীয় সরকারের ক্ষমতায়ন, সক্ষমতা বৃদ্ধি, স্থানীয় সড়ক যোগাযোগসহ বিভিন্ন প্রকল্পে জাইকা সহায়তা করছে৷ আশা করছি, এই বৈঠকের মাধ্যমে এই সহায়তা আরো বৃদ্ধি পাবে।’
এই সময় জাইকার ভাইস প্রেসিডেন্ট হারা শোহেই বলেন, ‘বাংলাদেশের সাথে জাইকার যেসকল প্রকল্প চলমান রয়েছে তার উল্লেখযোগ্য অংশ রয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সাথে। ইতিমধ্যে অনেকগুলো প্রকল্পের অগ্রগতি হয়েছে, নতুন কিছু প্রকল্পের ব্যাপারেও আলোচনা চলছে।
বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আলী আকতার হোসেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী তুষার মোহন সাধু খাঁ, জাইকার সাউথ এশিয়া বিভাগের উপ মহাপরিচালক সাকুডু শুনসুকে, জাইকা বাংলাদেশের প্রধান প্রতিনিধি ইচিগুচি তুমোহিদেসহ জাইকা ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।