প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফর: অর্জন কতটুকু
![প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফর: অর্জন কতটুকু](/Uploads/Images/News/2024/6/Image-35333-20240624045336.webp)
- এক মাসে দুইবার দিল্লি সফর শেখ হাসিনা
- বন্ধু প্রতীম প্রতিবেশি কাছ থেকে বাংলাদেশের কি পেল
- অর্জন কতটুকু তা নিয়ে হচ্ছে চুলচেরা বিশ্লেষণ
- প্রাপ্তির হিসেব নিকেশ মেলাতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ
- বাংলাদেশের অর্জনের পাল্লাই ভারী
গত ৯ জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর দ্বিতীয় দফায় দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক করতে দুই দিনের দিল্লি সফর শেষে ২২ জুন ঢাকা ফিরেন তিনি। বন্ধু প্রতীম প্রতিবেশি কাছ থেকে বাংলাদেশের কি পেল, অর্জন কতটুকু তা নিয়ে হচ্ছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। প্রাপ্তির হিসেব নিকেশ মেলাতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ।
জানা গেছে, দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ডিজিটাল ও সবুজ অংশীদারিত্ব, ব্লু ইকোনমি, স্পেস, ৩টি নবায়নসহ মোট ১০টি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এছাড়া বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ের মধ্যে রাজনীতি ও নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও সংযোগ, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, জ্বালানি ও শক্তি এবং আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়াতে উভয়পক্ষ সম্মত হয়েছে।
রাজশাহী-কলকাতার মধ্যে নতুন ট্রেন সার্ভিস, চট্টগ্রাম-কলকাতা নতুন বাস সেবা চালু, গেদে-দর্শনা ও হলদিবাড়ি-চিলাহাটির মধ্যে পণ্য ট্রেন সার্ভিস চালু, সিরাজগঞ্জে কনটেইনার ডিপো নির্মাণ, গঙ্গা পানি চুক্তির নবায়ন, যৌথ কারিগরি কমিটি গঠন, মেডিকেল ই-ভিসা চালু, কৃষি, আইটি ও লজিস্টিক সেক্টরে যৌথভাবে কাজ করবে দুই দেশ।
বহুল প্রতিক্ষীত তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে চূড়ান্ত সুখবর দিতে না পারলেও প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে তিস্তা নদীর সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধারের জন্য দ্রুত কারিগরি একটি টিম বাংলাদেশে আসবে বলে জানিয়েছে ভারত। এতে বাংলাদেশ তিস্তা চুক্তির প্রথম ধাপে উর্ত্তীণ হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সমুদ্র থেকে মহাকাশ, ডিজিটাল, সবুজ ও স্বাস্থ্য, সামরিক, রেল ও দুর্যোগসহ মানবীয় উদ্যোগের সব ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। এগুলো দুই দেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্কের রূপরেখা নিরূপণে ভূমিকা রাখবে। নরেন্দ্র মোদি-শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অংশীদারিত্ব আরো শক্তিশালী হবে। ফলে দুই দেশের অর্জনের পাল্লাই ভারী বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।