তিস্তা চুক্তির প্রথম ধাপে বাংলাদেশ-ভারত!
![তিস্তা চুক্তির প্রথম ধাপে বাংলাদেশ-ভারত!](/Uploads/Images/News/2024/6/Image-35313-20240623093705.webp)
নতুন সরকার গঠনের পর পানিবণ্টন চুক্তি না হলেও ‘তিস্তা রেস্টোরেশন প্রজেক্ট’-এ থাকার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
উত্তরের জনপদ আর প্রকৃতি তিস্তার ওপর নির্ভরশীল। অভিন্ন এ নদীর পানি ভাগাভাগির জন্য বহুকাল ধরে ভারতের দিকে তাকিয়ে ছিল বাংলাদেশ। এ নিয়ে খসড়া রূপরেখা করা হলেও প্রতিবেশী দেশটির অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কারণে সুরাহা মেলেনি। তিস্তা ইস্যুতে দুই দেশেই নানান ধোঁয়াশায় ছিল। তবে দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে আলোর মুখ দেখছে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি। যদিও তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে আগ্রহী নয়াদিল্লি, তবে নিজেদের ন্যায্য হিস্যা বুঝে নিতে অটল ঢাকাও।
জানা গেছে, তিস্তার পানি ব্যবস্থাপনা আর সংরক্ষণের প্রকল্পে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছে ভারত। ২২ জুন দিল্লিতে রাষ্ট্রীয় সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর এ ঘোষণা দেয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য গঠিত একটি কারিগরি দলও শিগগির বাংলাদেশে পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে। কিন্তু ঢাকা চাইছে দিল্লি যেন দ্রুতই তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তিটি সই করে। এজন্য জোর চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার।
এ প্রসঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াটরা বলেছেন, ‘তিস্তার অভিন্ন জলসম্পদের ব্যবস্থাপনা ভারত-বাংলাদেশের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমরা এই নদীর পানির ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণের কাজ করবো। এ প্রকল্পে ভারতের সর্বোচ্চ সহায়তা থাকবে। করা হবে অর্থায়নও। তবে এর আগে তিস্তা অববাহিকা অঞ্চল সফর করবে আমাদের কারিগরি দল।'
বিশ্লেষকরা বলছেন, তিস্তা চুক্তি নিয়ে বছরের পর বছর ধরে দিল্লি-কলকাতার রাজনীতি চলছে। মমতা বা অন্য কেউ হোক পশ্চিমবঙ্গের কোনো সরকারই বিষয়টি মানতে চায় না। কিন্তু নতুন সরকার গঠনের পর পানিবণ্টন চুক্তি না হলেও ‘তিস্তা রেস্টোরেশন প্রজেক্ট’-এ থাকার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর এটি এই চুক্তির প্রাথমিক ধাপ হিসেবেই ধরছেন বিশ্লেষকরা। কারণ পুরোনো বিবাদ মীমাংসিত হতে সময়ের প্রয়োজন হয়। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের ন্যায্য হিস্যা ঠিকই আদায় করে নেবেন বলেও আশাবাদী তারা।