এক পরিবারের সাতজনের চিরবিদায়

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৫:৫২, রবিবার, ২৩ জুন, ২০২৪, ৯ আষাঢ় ১৪৩১

বরগুনার আমতলীতে সেতু ভেঙে মাইক্রোবাস খালে পড়ে মোট ৯ জন নিহত হন। তাদের মধ্যে মাদারীপুরের শিবচরের একই পরিবারের নিহত সাতজনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

আজ রবিবার সকাল ১০টায় ওমেতমুর গ্রামে ১ জন, সকাল ৯টায় চরপাড়া গ্রামে ৪ জন, সকাল ৯টায় সাহাপাড়া গ্রামে ২ জনসহ মোট তিন গ্রামে ৭ জনের জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ সময় নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী কান্নায় ভেঙে পড়েন।

এক পরিবারের নিহত সাতজন হলেন উপজেলার ভদ্রাসনের চরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ব্যাংক কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী মুন্নী বেগম (৪০), দুই মেয়ে তাহিয়া (৭) ও তাসফিহা (১১), আজাদের বড় ভাই বাবুল মাদবরের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৪০), বোন ফরিদা বেগম (৪০), ফরিদা বেগমের ছেলে সোহেল খানের স্ত্রী রাইতি বেগম (৩০), রাইতির মা রুমি বেগম (৫০) নিহত হন। তাদের সবার বাড়ি ভদ্রাসনের সাহাপাড়া ও চরপাড়া গ্রামে।

গতকাল শনিবার রাতে বরগুনা থেকে মরদেহ বাড়িতে এসে পৌঁছায়। পরে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে মোট ৭০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বরগুনার আমতলিতে বোনের মেয়ে হুমায়রার বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকা থেকে যান শিবচরের ভদ্রাসনের চরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ব্যাংক কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, তার স্ত্রী টেলিটক চাকুরীজীবী মুন্নী বেগম, দুই মেয়ে তাহিয়া ও তাসফিহা। এর আগে বুধবার শিবচরের একই ইউনিয়নের সাহাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও ব্যাংকে কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদের বোন ফরিদা বেগম, ভাবী ফাতেমা বেগম, দুই ভাগ্নে মাহাবুব খান ও সোহেল খান, সোহেল খানের স্ত্রী রাইতি, রাইতির মা রুমি বেগমসহ পরিবারের সদস্যরা ও আত্মীয় স্বজন ওই অনুষ্ঠানে যান।

গত শুক্রবার বিয়েতে সবাই অংশ নেন। শনিবার আত্মীয় স্বজন নিয়ে বৌভাতে অংশ নিতে যাওয়ার পথে দুপুরে বরগুনা জেলার আমতলী এলাকার হলদিয়া-চাওড়া সীমান্তবর্তী চাওড়া হলদিয়া খালের ওপর লোহার ব্রিজ ভেঙে মাইক্রোবাস পানিতে পড়ে যায়। এতে ব্যাংকার আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী মুন্নী বেগম, দুই মেয়ে তাহিয়া ও তাসফিহা, আজাদের বড় ভাই বাবুল মাদবরের স্ত্রী ফাতেমা বেগম, বোন ফরিদা বেগম, ফরিদা বেগমের ছেলে সোহেল খানের স্ত্রী রাইতি বেগম, রাইতির মা রুমি বেগম নিহত হন।

শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘সেতু ভেঙে মাইক্রোবাস পানিতে ডুবে একই পরিবারের ৭ জন নিহতের ঘটনা খুবই দুঃখজনক। আমরা নিহতদের দাফনের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকা করে মোট ৭০ হাজার টাকা দিয়ে তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি।’

বিষয়ঃ দুর্ঘটনা

Share This Article


ভারতের জন্যই আয়োজন করা হয় বিশ্বকাপ: মাইকেল ভন

কনটেইনারভর্তি ৫০ লাখ সিগারেট জব্দ, বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য

চট্টগ্রামে মার্কেটে ভয়াবহ আগুন, নিহত ৩

চট্টগ্রামের রেয়াজউদ্দিন বাজারে আগুনে ৩ জন নিহত

সিরিয়াল ধর্ষক ভয়ংকর সেই রাফসান গ্রেফতার

কারাগারের ছাদ ফুটো করে আসামি পলায়ন: ৩ কারারক্ষী বরখাস্ত

বান্দরবানে যৌথবাহিনীর অভিযানে কেএনএফ সদস্য নিহত

তরুণীদের দিয়ে অনলাইনে দেহ ব্যবসা, শত কোটি টাকা হাতিয়েছে চক্রটি

বাধ্যতামূলক অবসরে সাবেক এডিসি সাকলায়েন

কোপা আমেরিকায় প্রথম ম্যাচেই বড় ধাক্কা খেল ব্রাজিল

তিন দিনের প্রথম আন্তর্জাতিক জুয়েলারি মেশিনারিজ প্রদর্শনী শুরু ৪ জুলাই

কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণের ফলে ফসল উৎপাদনে বিপ্লব ঘটেছে