যাত্রাবাড়ীতে স্বামী-স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৬:৪৪, বৃহস্পতিবার, ২০ জুন, ২০২৪, ৬ আষাঢ় ১৪৩১

আমরা সকাল ৭টায় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। এসে শফিকুর রহমান ও তার স্ত্রীকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। তাদের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মোমেনবাগ এলাকায় শফিকুর রহমান (৬০) ও তার স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিনকে (৫০) কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। তবে কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা প্রাথমিকভাবে কিছু বলতে পারেনি পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বেলা ১১টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান।

তিনি বলেন, আমরা সকাল ৭টায় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। এসে শফিকুর রহমান ও তার স্ত্রীকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। তাদের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করছি গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা তাদের এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যায়।

ওসি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে কী কারণে স্বামী-স্ত্রীকে এভাবে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে জানতে পারিনি। ঘটনাস্থলে সিআইডির ফরেনসিক টিম এসেছে তারা আলামত সংগ্রহ করছে। আলামত সংগ্রহ শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হবে। তদন্ত চলছে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম দম্পতি পশ্চিম মোমেনবাগের আড়াবাড়ি বটতলায় নতুন একটি চারতলা বাড়ি তৈরি করেছেন। ভবনের দুই তলায় তারা থাকতেন আর নিচতলায়, তিনতলা ও চার তলায় ভাড়া দেওয়া আছে। এই দম্পতির ছেলে ইমন পুলিশে চাকরি করেন। ইমনের স্ত্রী একই বাসায় থাকে। কিন্তু গতকাল ইমন দাদাবাড়ি ফেনীতে চলে যায় এবং তার স্ত্রী বাবার বাড়ি চলে যায়।

আরও জানা যায়, আজ সকালে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এর ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। ভবনের পার্কিংয়ে পাওয়া যায় শফিকুরের গলা কাটা মরদেহ। দোতালায় শোয়ার কক্ষে ফরিদার রক্তাক্ত মরদেহ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে ডিএমপির ওয়ারি বিভাগের উপ-কমিশনার মো. ইকবাল হোসাইন বলেন, এই হত্যাকাণ্ডটি ডাকাতি কি না তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এছাড়া পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড কি না সেই বিষয়েও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে বাসার আলমারি খোলা পাওয়া গেছে। আমরা হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করতে কাজ করে যাচ্ছি।

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article