আনোয়ারুল আজিমকে বালিশ চাপা দেন তানভীর

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৩:৪৫, বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে খুনের ঘটনায় আরও এক আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি হলেন খুলনার শিমুল ভূঁইয়ার ভাতিজা তানভীর ভূঁইয়া।

তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, পেশাদার অপরাধী শিমুলের সঙ্গে তানভীরও এই খুনে সরাসরি জড়িত বলে স্বীকার করেছেন। তিনি আনোয়ারুলকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যায় অংশ নেন।

মঙ্গলবার (৪ জুন) হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন গ্রেপ্তার তানভীর ভূঁইয়া। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের খাস কামরায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তিনি। এর আগের দিন সোমবার আদালতে জবানবন্দী দেন আরেক আসামি শিলাস্তি রহমান।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, তানভীর ভূঁইয়া আদালতকে বলেছেন, তার চাচা আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া ওরফে মাহমুদ হাসান শিমুলের পরিকল্পনায় গত ৬ মে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে তিনি কলকাতায় যান। কলকাতার নিউটাউন ও সল্ট লেকের মাঝামাঝি ত্রিশিব নামক একটি হোটেলে ওঠেন। ওই হোটেলে অবস্থান করেই তিনি বিভিন্ন সময়ে শিমুল ভূঁইয়ার সঙ্গে দেখা করেন এবং শিমুল ভূঁইয়ার পরিকল্পনা ও নির্দেশ মতো কাজ করতে থাকেন।

জবানবন্দিতে তানভীর বলেন, বাংলাদেশ এবং ভারতের বিভিন্ন স্থানে বসেই আখতারুজ্জামান শাহিনের নির্দেশনা মতে শিমুল ভূঁইয়া এমপি আনোয়ারুলকে হত্যার পরিকল্পনার ছক আঁটেন। এমপিকে হত্যার উদ্দেশ্যে সর্বশেষ কলকাতা বিমানবন্দরের পাশে ওটু নামের একটি রেস্টুরেন্টে মিটিং হয়। ওই মিটিংয়ে আখতারুজ্জামান শাহিন ছিলেন। শিমুল ভূঁইয়া, মোস্তাফিজুর রহমান, জিহাদ, তানভীর, সিয়াম, শিলাস্তি রহমানসহ কয়েকজনও উপস্থিত ছিলেন। সেখানে হত্যার চূড়ান্ত পরিকল্পনা হয়।

তানভীর জানান, শিমুল ভূঁইয়ার পরিকল্পনা মতে সবাই মিলেই এমপি আনোয়ারুল আজিমকে প্রলুব্ধ করে বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় নেওয়া হয়। তবে কী বলে প্রলুব্ধ করা হয় তা সূত্রটি বলেনি। কলকাতায় তাঁর বন্ধুর বাড়ি থেকেও কৌশলে ডেকে নিয়ে কলকাতার নিউটাউন এলাকায় বহুতল সঞ্জীবা গার্ডেনসের এক আবাসিক ভবনে আখতারুজ্জামান শাহিনের ভাড়া বাসায় নেওয়া হয়। সেখানে তাকে খুন করে লাশ গুম করা হয়।

তানভীর বলেন, অন্যান্যদের সঙ্গে তানভীর নিজে ওই ফ্ল্যাটে ছিলেন। ফ্ল্যাটে নেওয়ার পর আনোয়ারুল আজিমকে অজ্ঞান করা হয় এবং তাকে হত্যা করা হয়। আনোয়ারুল আজিমের মুখে ও গলায় বালিশ চাপা দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করেন তানভীর।

এ ঘটনায় বাংলাদেশে গ্রেপ্তার তিনজনের মধ্যে তানভীর ও শিলাস্তিকে জবানবন্দি দেওয়ার পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শিমুল ভূঁইয়া রিমান্ডে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে আছেন। জিহাদ নামের আরেক আসামি কলকাতায় গ্রেপ্তার আছেন। সিয়াম নামের আরেক আসামি নেপালে আটক আছেন।

Share This Article