জেসি বিতর্কের মাঝে বাংলাদেশের নারী রেফারির ইতিহাস

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৪:৫৮, রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩০

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেটে সুপার লিগের ম্যাচে আম্পায়ারিংয়ের দায়িত্বে থাকা সাথিরা জাকির জেসিকে নিয়ে আলোচনা এখন সর্বত্র। ম্যাচে তার আম্পায়ারিং নিয়ে ক্লাব কর্মকর্তারা আপত্তি জানিয়েছেন, এমন তথ্য কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশের পরই শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। 

 

এই বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যখন সরব, তখন দারুণ এক কীর্তি গড়ে নজর কাড়লেন বাংলাদেশের আরেক নারী রেফারি মাসফিয়া আফরিন।

আন্তর্জাতিক টেনিস ফেডারেশনের অনুমোদনক্রমে ও মালয়েশিয়া টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের ব্যবস্থাপনায় মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে ২৪ থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় ‘আইটিএফ হুয়াইট ব্যাজ স্কুল’। সেখানে বাংলাদেশ থেকে মাসফিয়া আফরিন অংশগ্রহণ করেন এবং কৃতিত্বের সঙ্গে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরে ‘হুয়াইট ব্যাজ রেফারি’ হিসেবে মাসফিয়া আফরিনকে স্বীকৃতি দেয় আইটিএফ কর্তৃপক্ষ।

অফিসিয়েটিং স্কুলে বাংলাদেশের মাসফিয়া আফরিন ছাড়াও মালয়েশিয়া, ইরাক, ইরান, লেবানন, উজবেকিস্তান, ভারত, জাপান, ভিয়েতনাম, কাজাখস্তান, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও চীন হতে ১৬ জন অফিসিয়াল অংশগ্রহণ করেন।

হুয়াইট ব্যাজ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের আগে মাসফিয়া আফরিন আইটিএফের ‘প্রজেক্ট : অফিসিয়েটিং পাথওয়ে’র আওতায় অফিসিয়েটিংয়ের বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য ভারতের কলকাতা ও দিল্লিতে দুইটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সহকারী রেফারি হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ পেয়েছিলেন। মাসফিয়া আফরিনের হুয়াইট ব্যাজ স্বীকৃতির ফলে তিনি আইটিএফের অনুমোদিত আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা পরিচালনার জন্য যোগ্যতা অর্জন করলেন।

উল্লেখ্য, এর আগে বাংলাদেশের সারোয়ার মোস্তফা জয় ২০০০ সালে ‘আইটিএফ হুয়াইট ব্যাজ চেয়ার আম্পায়ার’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিলেন।

Share This Article