প্রধানমন্ত্রীর মুখে গ্রামীন ফোন নিয়ে ধোঁকাবাজির গল্প!
‘গ্রামীণফোনের যেটা বাংলাদেশের অংশ থাকার কথা তার অধিকাংশ ৬৫ শতাংশ শেয়ার ড. ইউনূস বিক্রি করে দিয়েছেন নিজের স্বার্থে। বাকিটুকুও এখন নিজের ব্যক্তিগত সম্পত্তি ভেবে বসে আছেন। অথচ পরে জানতে পারা গেলো গ্রামীণ ব্যাংকে কখনো গ্রামীণ ফোনের লভ্যাংশই যায়নি।’
‘দেশের দ্ররিদ্র জনগোষ্ঠীর লাভের কথা বলে গ্রামীণফোনের লাইসেন্স নিয়েছিলেন প্রফেসর ড. ইউনূস। কথা ছিল এই কোম্পানির যে লভ্যাংশ আসবে তা প্রথমে গ্রামীণ ব্যাংকে যাবে, আর সেখান থেকে ঋণ পাবে সাধারণ মানুষ। কিন্তু ঋণতো দূরের কথা, ফোন কোম্পানি হাজার হাজার কোটি টাকা কামালেও আজ পর্যন্ত লাভের একটি টাকাও গ্রামীণ ব্যাংকে যায়নি। একাদশ জাতীয় সংসদে এক সাংসদের প্রশ্নের জবাবে এমনটিই বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সেই গল্পের স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’৯৬ সালে সরকারে আসার পর প্রায়ই আমার অফিসে আসতেন ড. ইউনূস। আর আমাকে বলতেন তাকে যেন একটি টেলিফোনের লাইসেন্স দেয়া হয়। অর্থাৎ এর লাইসেন্স দিলে দরিদ্র জনগোষ্ঠীরও সুবিধা হবে। তারা ক্ষুদ্র ঋণ পাবে। তখন গ্রামীণ ব্যাংকটাও দাঁড়াবে।
তখন তার কথায় কিছুটা আস্থা রাখলাম। তখন একটা ফোনের দাম এক লাখ টাকার বেশি ছিল। কেউ এক মিনিট ফোন করলে ১০ টাকা দিতে হতো। দেখলাম এখানে ভালোই ব্যবসা হচ্ছে। শুধু ব্যবসাই হচ্ছে না সাধারণ মানুষজনেরাও ব্যপক উপকৃত হচ্ছিলেন। তাদেরকে সময় নষ্ট করে আর কোথাও যেতে হচ্ছিল না। একটা ফোন কলেই খবর জানতে পারছেন। সবমিলিয়ে ভাবলাম এখানে কিছু করা যেতে পারে।
এরই অংশ হিসেবে বেসরকারি খাত উন্মুক্ত করে দিলাম। সেখানে গ্রামীণফোন টেন্ডারে তৃতীয় স্থানে ছিল। ইউনূসের লাইসেন্স পাওয়ার কথা ছিল না, তবুও আমরা তাকে ব্যবসার সুযোগ দিলাম। যেহেতু তিনি বলছেন, এর লভ্যাংশটা দ্ররিদ্রদের মাঝে সহজ শর্তে ঋণ দেওয়া হবে।
তবে অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হচ্ছে, গ্রামীণফোনের যেটা বাংলাদেশের অংশ থাকার কথা তার অধিকাংশ ৬৫ শতাংশ শেয়ার ইউনূস বিক্রি করে দিয়েছেন নিজের স্বার্থে। বাকিটুকুও এখন নিজের ব্যক্তিগত সম্পত্তি ভেবে বসে আছেন। অথচ পরে জানতে পারা গেলো গ্রামীণ ব্যাংকে কখনো গ্রামীণ ফোনের লভ্যাংশই যায়নি। এটা আমি বলবো এটা ধোঁকাবাজি ছাড়া আর কিছুই ছিল না।