ইউনূসের বিরুদ্ধে যত মামলা: কারা, কবে,কেন করেছে

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ০১:৪৬, সোমবার, ২৫ মার্চ, ২০২৪, ১১ চৈত্র ১৪৩০

ড. ইউনুসের বিরুদ্ধে অধিকাংশ মামলাই তার হাতে গড়া প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মকর্তারা করেছেন। শুধু দুটি ক্ষেত্রে মামলা করেছে কলকারখানা অধিদপ্তর ও দুদক।  অথচ সরকার তার বিরুদ্ধে মামলা করে হয়রানী করছে বলে দেশি-বিদেশি পত্রিকায় অভিযোগ করে যাচ্ছেন ড. ইউনুস। 

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তার প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির বিরুদ্ধে সারাদেশে ১৬৮টি মামলা বিচারাধীন। এরমধ্যে গ্রামীণ টেলিকম সংশ্লিষ্ট মামলা ৬৪টি, গ্রামীণ কল্যাণের ৬৯টি, গ্রামীণ কমিউনিকেশনের ২৫টি ও গ্রামীণ ফিশারিজের নামে ৮টি মামলা রয়েছে।

ড. ইউনুসের বিরুদ্ধে মামলাগুলো মূলত শ্রম আইন লঙ্ঘন, শ্রমিকদের অর্থআত্মসাত,  মানি লন্ডারিং ও কর ফাঁকির মতো গুরুতর অভিযোগের।  

কারা, কবে ও কেন মামলা করেছিলেন?

সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২৮ আগস্ট শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে ১৮টি মামলা দায়ের হয়। এসব মামলার বাদী গ্রামীণ টেলিকমের ১৮ জন কর্মচারী। আইন অনুযায়ী লভ্যাংশের ৫ শতাংশ বা প্রায় ২২ কোটি টাকা দেয়ার কথা থাকলেও গ্রামীণ টেলিকম তা শ্রমিকদের দেয়নি।

২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর আরেক শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. ইউনূসসহ চারজন দোষী প্রমাণ হলে তাদের ৬ মাসের দণ্ড দেয় আদালত। মামলাটি করে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর।

এছাড়াও ২০১৭ সালের মে মাসে গ্রামীণ টেলিকমের ১৭৬ জন কর্মচারী ড. ইউনুসের বিরুদ্ধে ১১০ টি মামলা করে। এর মধ্যে শ্রম আদালতে ১০৪ টি, হাইকোর্টে ০৬ টি। মোট ৪৩৭ কোটি টাকা দাবি করে মামলাগুলো করা হয়। ৫ বছর মামলা চলার পর ২০২২ সালের মে মাসে আদালতের বাইরে সমঝোতায় মামলাগুলো প্রত্যাহার করা হয়।তবে সেগুলো ড. ইউনুস শ্রমিক নেতাদের ঘুষ প্রদানের মাধ্যমে সমঝোতা করেছেন বলে জোরালো অভিযোগ রয়েছে।

২০১৬ সালের মে মাসে ড. ইউনুসের বিরুদ্ধে তিনটি ট্রাস্টের কর ও দান কর ফাঁকির নোটিশ দেয় এনবিআর। নোটিশের বিরুদ্ধে মামলা করেন ইউনুস। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর ২০২৩ সালের মে মাসে হেরে যান ড. ইউনূস। পরে আপিল বিভাগের নির্দেশে ১২ কোটি টাকা কর পরিশোধও করেন ইউনুস।

এছাড়া ড. ইউনূসের আরও তিনটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে  ১১শ’কোটি টাকা কর ফাঁকির মামলা করে এনবিআর। ২০১২-১৭ করবর্ষে এই অর্থ ফাঁকি দেন ইউনুস। এসব মামলা হাইকোর্টে চলমান।

তবে সর্বপ্রথম মালার পথে হাঁটেন ড. ইউনুস নিজেই।নিয়ম বহির্ভূতভাবে অতিরিক্ত প্রায় ১০ বছর গ্রামীন ব্যাংক'র পদ আঁকড়ে ধরে ছিলেন।নিয়ম মেনে তাঁকে গ্রামীন ছাড়তে বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশনা প্রদান করলে ২০১১ সলে  ইউনুস পাল্টা চ্যালেঞ্জ করে আদালতে মামলা করেন,যদিও মামলায় হেরে তাঁকে গ্রামীন।ব্যাংক ছাড়তে হয়েছিল।

মামলার নথি ঘেটে জানা যায় ড. ইউনুসের বিরুদ্ধে অধিকাংশ মামলাই তার হাতে গড়া প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মকর্তারা করেছেন। শুধু দুটি ক্ষেত্রে মামলা করেছে কলকারখানা অধিদপ্তর ও দুদক।  অথচ সরকার তার বিরুদ্ধে মামলা করে হয়রানী করছে বলে দেশি-বিদেশি পত্রিকায় অভিযোগ করে যাচ্ছেন ড. ইউনুস। বিষয়টিকে উদর পিন্ডি বুঁদুর ঘাড়ে চাপিয়ে নিজেকে সরকারের প্রতিহিংসার শিকার বলে চাপানোর চেষ্টা করছেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

Share This Article


দুই জেলায় বজ্রপাতে ৫ জনের মৃত্যু

অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপির লিফলেট বিতরণ: ওবায়দুল কাদের

সরকারের ধারাবাহিকতার কারণে এতো উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে : কাদের

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন

পাহাড়ে অস্ত্রধারীদের গোপন আস্তানা

হালকা বৃষ্টি-বাতাসে রাজধানীতে স্বস্তি

আমি হাওয়া ভবনের মতো কোনো ‘খাওয়া ভবন’ করিনি: প্রধানমন্ত্রী

গণভবনে ফুলেল শুভেচ্ছা সিক্ত শেখ হাসিনা

ইন্টারনেটের গতিতে এগোলো বাংলাদেশ

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীদের শোষণ, শাস্তির মুখে কোম্পানি

যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল

নাইজেরিয়ায় নামাজের সময় মসজিদের তালা আটকে অগ্নিসংযোগ, নিহত ১১