বঙ্গবন্ধুর চিঠি সংরক্ষণকারী ইফাতনের বাড়িতে প্রধানমন্ত্রীর উপহার

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:
বঙ্গবন্ধুর চিঠি সংরক্ষণকারী ইফাতনের কাছে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা উপহার হস্তান্তর করেন জেলা প্রশাসক ড. আতাউল গনি
পাঁচ দশক ধরে বঙ্গবন্ধুর চিঠি সংরক্ষণকারী শহিদ রমজান আলীর স্ত্রী ভিখারি ইফাতনের বাড়িতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা উপহার পৌঁছে দিলেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. আতাউল গনি।
৯ জানুয়ারি বিকালে ধনবাড়ী উপজেলার পানকাতা গ্রামে ইফাতনের বাড়িতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে নগদ ২০ হাজার টাকা, টাঙ্গাইলের শাড়ি, ফলমূলসহ খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন গোপালপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইউনুছ ইসলাম তালুকদার, গোপালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. পারভেজ মল্লিক, ধনবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসলাম হোসাইন, গোপালপুর পৌর মেয়র রকিবুল হক ছানা, গোপালপুর থানার ওসি মোশারফ হোসেন, গোপালপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মীর রেজাউল হক, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মরিয়ম আক্তার মুক্তা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক সাইফুল ইসলাম তালুকদার, প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন, সম্পাদক সন্তোষ কুমার দত্ত, ধনবাড়ী উপজেলার বলিভদ্র ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
এর আগে জেলা প্রশাসক ৭১ সালে গোপালপুর উপজেলায় মাদমুদপুরে গণহত্যায় নির্মিত স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে এক সমাবেশ করেন। সেখানে জেলা প্রশাসক জানান, গত ৭ জানুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে শহিদ রমজান আলীর স্ত্রী ইফাতন বেওয়াকে নিয়ে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনে ইফাতন বেওয়া স্বামী রমজান আলীর ৭১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মাহমুদপুর গণহত্যার দিন শহিদ হওয়ার স্বীকৃতি হিসেবে ৭২ সালের ডিসেম্বর মাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি চিঠি পান। বঙ্গবন্ধুর পাঠানো ঐ চিঠি ইফাতন বেওয়া ৫০ বছর ধরে সংরক্ষণ করে আসছেন।
স্বাধীনতার ৫০ বছরেও বিধবা ইফাতনের খবর কেউ রাখেনি। অভাব-অনটনে ইফাতন বেওয়া পেট চালাতে ভিক্ষাবৃত্তি অবলম্বন করেন। খবরটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টিতে এলে তিনি টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসককে গণহত্যার শিকার ইফাতন বেওয়াসহ শহিদ ১৭ পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন।
জেলা প্রশাসক আরও জানান, ইফাতন বেওয়াসহ ১৭ শহিদ পরিবারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা হিসেবে ১টি করে বীরনিবাস নির্মাণ করে দেওয়া হবে। তারা যাতে শহিদ পরিবারের সদস্য হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পায় সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
শহিদ পরিবারের হতদরিদ্র সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার পেয়ে খুশিতে আপ্লুত হন। ইফাতন বেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় জানান, অভাব-অনটনের সাথে ৫০ বছর লড়াই করেছি। বহুদিন অনাহারে থাকতে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে নগদ অর্থ ও উপহারসামগ্রী পেয়ে নিজকে ধন্য মনে এবং তার দীর্ঘায়ু কামনা করছি।