করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। হাসপাতালগুলোতে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। দেখা দিয়েছে আইসিউ সকটও। তবে এর জন্য হাসপাতালে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীদেরকেই দায়ী করলেন চিকিৎসকরা।
অভিযোগ করে তারা বলেন, অনেক রোগী সুস্থ হওয়ার পরও অযথাই কেবিনে বা বেডে পড়ে থাকে তার টেস্ট নেগেটিভ হলো কি না সেটা দেখার জন্য। অনেকেই পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়ার জন্য পুনরায় টেস্টের জন্য আরও কিছু দিন বেড দখল করে বসে থাকে।
অথচ প্রয়োজন না বুঝে বেড দখল করে থাকায় অনেক সিরিয়াস রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হতে পারছেন না। ফলে চিকিৎসার অভাবে প্রতিদিন বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা।
চিকিৎসকরা বলেন, সুস্থ হলেও টেস্টে করোনা পজিটিভ আসতে পারে। কারণ রোগ সেরে যাওয়ার পরও ৪০ দিন পর্যন্ত পরবর্তীতে টেস্ট পজিটিভ আসতে পারে। তাই দ্বিতীয়বার বা বারবার কভিড টেস্ট করানোর কোনোই প্রয়োজন নেই। এই অযথা টেস্টের কারণে অনেকে প্রথমবারে টেস্ট করারও সুযোগ পায় না।
কোভিডের ক্ষেত্রে মূল মনোযোগটা দিতে হবে রোগীর অক্সিজেনের উপর। এর স্বল্পতা হলে লিভার, কিডনি, ব্রেন নষ্ট হয়ে যেতে পারে আর তখন তাদের আইসিইউ’র প্রয়োজন হয়।
অনেকেই এগুলো না জানার ফলে হাসপাতালেই বেশি ভরসা পান।
কোভিড রোগীকে যাতে ভেন্টিলেটর পর্যন্ত না নিয়ে যেতে হয় এ জন্য আগে থেকেই ওয়ার্ডগুলোতে অক্সিজেন সয়লাব করে দিতে হবে। যেটা বাসায়ও দেয়া সম্ভব।
এতে করে যে রোগীরা ICU-তে যাওয়ার জন্য ভিড় করে তাদের বেশিরভাগই ওয়ার্ডেই চিকিৎসা দেয়া সম্ভব। ফলে সংকট কাটবে আইসিইউ’র।
তাই অবহেলা না করে এ বিষয়ে সবাইকে যথেষ্ট সচেতন, যত্নশীল ও আরো সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।