বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা- ইউনেস্কোর মহাপরিচালক অড্রে অ্যাজুলাই এক ভিডিও বার্তা দিয়েছেন।
২৩ মার্চ দেয়া সেই ভিডিও বার্তায় বাংলাদেশ থেকে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজে স্থান পাওয়া বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন তিনি।
এর মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের দেয়া ভাষণকে সবচেয়ে গুরুত্বের সঙ্গে উপস্থাপন করে ইউনেস্কো প্রধান অড্রে অ্যাজুলাই বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণের পথ ধরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে।
ঐতিহাসিক গুরুত্বের কারণেই ভাষণটি ইউনেস্কোর মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড হেরিটেজে স্থান পেয়েছে এবং ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেশটির স্বাধীনতার নেতৃত্ব দেয়ায় বাংলাদেশ এবং বিশ্ব এই দিনটি উদযাপন করছে।
এ কারণে ইউনেস্কো ঐতিহাসিক এই ভাষণটি বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যে অন্তর্ভুক্ত করেছে, সেই একই কারণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপনে যোগ দিয়েছে।”
এছাড়া ওয়ার্ল্ড হেরিটেজে স্থান পাওয়া বাংলাদেশের পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার, বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদ, সুন্দরবন ও জামদানিসহ বিভিন্ন জিনিসের প্রসংসা করেন তিনি।
ইউনেস্কো মহাপরিচালক ভিডিও বার্তায় আরো বলেন, বিশ্ব যখন একটি গভীর সংকট মোকাবেলা করছে, তখন শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞানের মতো বিষয়ে বাংলাদেশ ও ইউনেস্কোর আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সহেযাগিতা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
‘ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ ইন দ্য ফিল্ড অব ক্রিয়েটিভ ইকোনমি’ প্রচলনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আসুন আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করি, কেননা মানবতার জন্য সংগ্রাম অধিকার, মুক্তি ও স্বাধীনতার জন্যও সংগ্রাম।