গত বছরের ২২ জানুয়ারি বহুল প্রতীক্ষিত ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট বা ই-পাসপোর্টের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) জন্য অনলাইনে এবং সরাসরি আবেদন করা গেলেও ই-পাসপোর্টের আবেদন করা যাবে শুধুমাত্র অনলাইনেই।
ই-পাসপোর্টের আবেদন করতে হলে গ্রাহককে www.epassport.gov.bd ওয়েবসাইটে লগ ইন করে ডিরেক্টলি টু অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনে (Directly to online application) অপশনে ক্লিক করতে হবে।
প্রথম ধাপে বর্তমান ঠিকানার জেলা শহরের নাম ও থানার নাম নির্বাচন করতে হবে। পরের ধাপে ব্যক্তিগত তথ্য সম্বলিত ই-পাসপোর্টের মূল ফরমটি পূরণ করে সাবমিট করতে হবে।
তৃতীয় ধাপে মেয়াদ ও পাসপোর্টের পৃষ্ঠা সংখ্যা অনুযায়ী ফি জমা দিতে হবে। তবে বর্তমানে ই-পাসপোর্টের অনলাইন পেমেন্ট বন্ধ রয়েছে।
আবেদনপত্র জমা দিয়ে অ্যাপোয়েনমেন্ট ডেটের আগে অফলাইনে অর্থাৎ সরাসরি নির্ধারিত ব্যাংকে গিয়ে ই-পাসপোর্টের ফি জমা দিতে হবে।
ফি জমা দেওয়ার নির্ধারিত ব্যাংকগুলো হলো- ওয়ান ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া ও ঢাকা ব্যাংক।
অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবীরা রেগুলার ডেলিভারির জন্য আবেদন করলেও স্বয়ংক্রিয়ভাবে তারা এক্সপ্রেস ডেলিভারির সুবিধা পাবেন।
যারা দুদিনের মধ্যে অতি জরুরি পাসপোর্ট নিতে চান সেসব আবেদনকারীকে নিজ উদ্যোগে আগেই পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এনে পাসপোর্টের ফরমে প্রি-পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের নম্বর উল্লেখ করতে হবে।
আবেদনের সময় ক্লিয়ারেন্সের কপিও জমা দিতে হবে।
যা যা জমা দিতে হবে-
একজন প্রাপ্ত বয়স্কের ই-পাসপোর্ট করতে ফরম পূরণ করে সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা স্মার্ট কার্ডের ফটোকপি জমা দিতে হবে।
পাশাপাশি পরিচয়পত্রের মুল কপিও অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে দেখাতে হবে।
১৮-এর কমবয়সীদের জন্য জন্ম-নিবন্ধন সার্টিফিকেট, বাবা-মায়ের ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি জমা দিতে হবে।
সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য অনাপত্তিপত্র-এনওসি এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের জন্য অবসরের প্রমাণপত্র হিসেবে পেনশনের দলিল দেখাতে হবে।