রোহিঙ্গাদের নিরাপদে নিজ দেশে ফেরাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যথেষ্ট চাপ প্রয়োগ করছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন বেশ স্পষ্ট করেই মিয়ানমারকে চাপে রাখার আহবান জানিয়েছেন।
২৪ জানুয়ারি ‘রোহিঙ্গা প্রবলেম: বিগ পিকচার’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন অভিযোগ করেন, অং সান সু চি ও মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গা সমস্যা ঝুঁলিয়ে রেখেছে।
তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন ও গণহত্যায় বিভিন্ন আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা চলছে। জাতিসংঘ গণহত্যার বিষয়ে প্রমাণ সংগ্রহের চেষ্টা করছে। এই সময়ে সবাই একসঙ্গে মিয়ানমারের ওপর চাপ দিলে সমস্যা সমাধান সহজ হবে।
ডিকসন বলেন, ‘অং সান সু চি ক্ষমতায় আসার পর আমরা সবাই আশাবাদী ছিলাম যে, মিয়ানমারে গণতন্ত্র ফিরে আসবে। কিন্তু এটি আমাদের জন্য বিরাট একটি হতাশার বিষয় যে সেখানে কোনও পরিবর্তন হয়নি। সু চি স্বীকার করেছেন যে রাখাইনে যুদ্ধাপরাধ সংগঠিত হয়েছে এবং এর ওপর ভিত্তি করে আমরা কাজ করছি। কিন্তু এরপরও মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।
এসময় আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা বাংলাদেশ প্রধান জর্জি গিগাউরি বলেন, সামাজিক মাধ্যমে কক্সবাজারে বিভিন্ন ধরনের খবর ছড়িয়ে পড়ে যা অনেক সময়ে বড় ধরনের সমস্যা তৈরি করে।
রোহিঙ্গা সমস্যা নিরসনে নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও বেশ কয়েকবার অহ্বান জানিয়েছেন। সম্প্রতি চীনের মধ্যস্থতায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার বৈঠক হয়েছে।
এর আগে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সেপ্পোও রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারকে অগ্রণনি ভূমিকা পালনে আহ্বান জানান।