নিজস্ব প্রতিবেদক : ২০১৭ সালে দেশে নতুন করে রোহিঙ্গাদের আগমন শুরু হলে প্রাথমিকভাবে কয়েকটি স্কুল সেনাবাহিনীর অস্থায়ী ব্যারাক হিসেবে ব্যবহার শুরু হয়। এছাড়া বহু রোহিঙ্গা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভবনে আশ্রয় নেয়। ফলে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কয়েকমাস শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখে।
এরপর ত্রাণ কর্মসূচিতে ব্যবহৃত যানবাহনের ব্যাপক ভীড়ের কারণে অনেক শিক্ষার্থী স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। অনেক শিক্ষক অধিক আয়ের সুযোগ পেয়ে ত্রাণ কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেন। জানা গেছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে স্থানীয় শিক্ষা ব্যবস্থা।
২৪ জানুয়ারি, আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস উপলক্ষ্যে কক্সবাজারের এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ পুনর্বাসন কর্মসূচি গ্রহণের জন্য আহ্বান জানিয়েছে কক্সবাজার সিএসও-এনজিও ফোরাম (সিসিএনএফ)।
বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানায়, গত ৩ বছরের বেশি সময় ধরে এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা তাদের নিয়মিত পড়াশোনা থেকে বিচ্ছিন্ন। বিকল্প কোন ব্যবস্খা না থাকায় তাদের ভবিষ্যৎ এখন হুমকির মুখে।
বর্তমানে রোহিঙ্গা শিবিরগুলোর প্রায় ৬ হাজার শিক্ষা কেন্দ্রে ৩ লাখেরও বেশি শিশু-কিশোরের জন্য লেভেল ১-৪ পর্যন্ত শিক্ষা কর্মসূচি পরিচালনা করা হচ্ছে। তবে অবহেলিত হচ্ছে স্থানীয় শিশু শিক্ষা।
এনজিওগুলো বলছে, স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীদের সমস্যা কাটিয়ে উঠতে স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অবকাঠামোগত উন্নয়ন, দক্ষ ও প্রশিক্ষিত শিক্ষক নিয়োগ নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
এছাড়া রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য মিয়ানমারের ভাষায় গৃহীত পাঠ্যক্রম এবং এই শিক্ষা কার্যক্রমকে মিয়ানমার সরকার কর্তৃক স্বীকৃত করার জন্য কূটনৈতিক উদ্যোগেরও তাগিদ দিয়েছে এনজিওদের এই সংগঠন।