ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত জাতীয় চিড়িয়াখানার ১৮৬ দশমিক ৬৩ একর জমিতে বাঘ, ভাল্লুক, হরিণ, অজগরসহ প্রায় তিন হাজার প্রাণীর বাস।
তবে দীর্ঘদিন চিড়িয়াখানায় কোনো নতুনত্ব না থাকায় দর্শক হারাচ্ছে বিনোদনের অন্যতম এই কেন্দ্রটি। তাইতো আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চিড়িয়াখানাকে ঢেলে সাজাতে ১৫ বছর মেয়াদি একটি দীর্ঘ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর।
পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে- ঘনজঙ্গল বেষ্টিত সুবিশাল অ্যাকুরিয়াম। যেখানে জীবজন্তুদের খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাবেন দর্শণার্থীরা।
সিঙ্গাপুরের চিড়িয়াখানার আদলে এখানে হবে নাইট সাফারি। যার ফলে দিন ও রাত দুই বেলায়ই চিড়িয়াখানায় বিনোদন নিতে পারবেন দর্শনার্থীরা।
নতুন দিনের দর্শকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে চিড়িয়াখানার দক্ষিণ ও পশ্চিমপার্শ্বের লেকে বার্ড শো ও ডলফিন শো করার কথা পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
থাকবে শিশুদের জন্য মিনি পার্কের ব্যবস্থাও। সেখানে ইলেকট্রিক ট্রেন, মেরি গো রাউন্ড, ম্যাজিকশোসহ আরো বেশ কয়েকটি কয়েকটি আইটেম থাকবে।
আর মুজিববর্ষ শেষ হওয়ার আগেই প্রতিবন্ধী, বৃদ্ধ বা পাঁচ থেকে ছয় সদস্যের পরিবার যেন পুরো চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখতে পারে- সেজন্য সংযুক্ত হচ্ছে ট্রাভেলকারও।
উল্লেখ্য, সিঙ্গাপুরের বিখ্যাত চিড়িয়াখানা নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বারনার্ড হ্যারিসন অ্যান্ড ফ্রেন্ডস লিমিটেডকে এই কাজের ভার দেয়া হয়েছে। বিশ্বের অনেক নামীদামি চিড়িয়াখানা তাদের হাতে করা। এ বছরের জুনেই এর কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।