‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মুজিববর্ষ উপলক্ষে আমি আপনার কাছ থেকে একটি ঘর উপহার পেয়েছি যেটি পেয়ে আমি অত্যন্ত খুশি। কারণ সামর্থ না থাকায় এরকম ঘর আমি কোনোদিন তৈরি করতে পারতাম না। এই ঘর আমার জীবনে আল্লাহর অশেষ রহমত।’
২৩ জানুয়ারি দেশের ৭০ হাজার গৃহহীন ও ভূমিহীনদের মাঝে ঘর হস্তান্তরকালে এভাবেই কান্না জড়িত কণ্ঠে শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এক অসহায় গৃহহীন।
তার মতো আরও অনেক ভূমি ও গৃহহীন পরিবার রয়েছেন যাদের জীবনের বেশিরভাগ সময় কেটেছে অন্যের জায়গায়, অন্যের ঘরে।
নিজের একটি ঘরের স্বপ্ন হয়ত তাদের ছিল, কিন্তু জমিসহ একটি বাড়ি যে উপহার পাওয়া সম্ভব, তা ছিল তাদের ভাবনারও বাইরে। মুজিববর্ষে তাদের এই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ পেয়েছে।
আশ্রয়ণ প্রকল্পে পাকা ঘর পেয়েছেন রূপগঞ্জের বামনগাঁও এলাকার রুনা বেগম। শেষ জীবনে এসে নিজের একটি ঠিকানা পাওয়ার আনন্দে তার কণ্ঠ ছিল বাষ্পরুদ্ধ।
নিজের অভিব্যক্তি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এত সুন্দর বাড়ি পামু কোনদিন ভাবি নাই। আগে খুব অসহায় ছিলাম। বৃষ্টির পানি ঘরে ঢুকায় পোলাপাইন নিয়া মানুষের বাড়িতে ও স্কুলে গিয়ে থাকতে হয়েছিল। এহন আমাগো আর সেইদিন দেখতে হবে না।’
ঘর পেয়ে কান্না জড়িত কণ্ঠে সুমাইদা রশ্মী নামের ছোট্ট এক শিশু বলে, প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে যে ঘরটি দিয়েছেন তাতে আমি অনেক খুশি। আমাদের আগে কোনো ঘর ছিল না। আমরা অন্যের বাড়িতে থাকতাম। আমরা দুই বোন খেলতে পারতাম না। অন্যের ঘরে গেলে আমাদেরকে খুবব বকতো। শেখ হাসিনাকে আল্লাহ আরো অনেকদিন বাঁচায় রাখুক আমি এই কামনাই করি।
দুই কক্ষ বিশিষ্ট প্রতিটি ঘরে রয়েছে একটি বারান্দা, একটি টয়লেট, একটি রান্নাঘর এবং একটি খোলা জায়গা যেখানে সন্তানদের খেলাধূলাসহ সবজি চাষের মাধ্যমে নিজেদের খাদ্যের প্রয়োজন মিটাতে পারবেন তারা।
এছাড়া খাবার পানির জন্য রয়েছে টিউবওয়েল, দেয়া হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগও।