একটা সময় ছিল যখন বাংলাদেশে কোনো ছবি মুক্তি পেলে মানুষ তা দেখার জন্য ভিড় জমাতো সিনেমা হলগুলোতে। তবে এখন সিনেমা হল নয়, সবাই ঘরে ইন্টারনেট নিয়ে ব্যস্ত। ডিজিটাল যুগের সাথে পাল্লা দিয়ে দেশের সর্ব সেক্টররের উন্নতি হলেও খুব বেশি সামনে এগোতে পারেনি বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পটি।
রোববার ১৭ জানুয়ারি ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৯’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই হারানো এই শিল্পের ঐতিহ্য ফেরাতে নানা উদ্যোগের কথা জানালেন।
তিনি বলেন, ডিজিটাল যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ছবি তৈরি না হলে এর আকর্ষণ যেমন থাকে না, তেমনি বাজারও পাওয়া যাবে না।
নির্মাতাদের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, এখন থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে দেখা যায় তেমন সিনেমা তৈরিতে বেশি জোর দিতে হবে। পাশাপাশি বিজয়ের ইতিহাস প্রজন্মের পর প্রজন্ম যেন মনে রাখতে পারে, সেই ধরনের চলচ্চিত্র আরো নির্মাণ করতে হবে।
একই সঙ্গে শিশুদের জন্য এমনভাবে চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে হবে, যাতে তারা সেখান থেকে ভবিষ্যত্ জীবন গড়ার অনুপ্রেরণা পায়।
এর জন্য চলচ্চিত্রে শিল্প ও সংস্কৃতি যেমন থাকবে, তেমনি বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য উপকরণও থাকতে হবে।
উল্লেখ্য, চলচ্চিত্রের সোনালী দিন ফেরাতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় প্রতি জেলায় একটি করে তথ্যকেন্দ্র ও সিনেপ্লেক্স নির্মাণের অনুমোদন দেয়া হয়। সেখানে আধুনিক সিনেমা তৈরি করতে যা যা প্রয়োজন, সেই ধরনের সব সুবিধা থাকছে।