রঙিন সামিয়ানা টানানো প্যান্ডেলে সাজানো কয়েকশ চেয়ার টেবিল। সাদা পোশাকের বয়-বেয়ারারা এসে টেবিলে টেবিলে দিচ্ছে সাদা ভাত এবং গরুর মাংস
৩ ডিসেম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দৃশ্য এটি। রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের যাত্রাকে আনন্দময় করে তুলতে আয়োজন করা হয় এই ঐতিহ্যবাহী মেজবান অনুষ্ঠানের।
সবাই মিলে যতোখুশি খাওয়ার এই রীতিকে বলা হয় মেজবান। আর মেজবান দিয়েই শুরু হলো হাজারখানেক রোহিঙ্গার ভাসানচর যাত্রা।
জানা গেছে, ২ ডিসেম্বর রাতে ১০টি গরু জবাই করে প্রস্তুত করা হয় সাড়ে তিন হাজার মানুষের খাওয়ার উপযোগী ১৭ মণ মাংস। রাতভর রান্নার পর সকাল থেকে শুরু হয় খাওয়া।
মধুর আপ্যায়নে আর উন্নত বাসস্থানের উদেশ্যে যাত্রা করতে পেরে খুশি রোহিঙ্গারা
রোহিঙ্গাদের কয়েকজন প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, খাবার খুব ভালো হয়েছে। খাবার খেয়েই আমরা সেখানে (ভাসানচরে) চলে যাবো।
খাবার শেষে বাসে করে নৌবাহিনীর জাহাজে তাদের তুলে দেয়া হয়। সেই জাহাজই তাদের বহন করে ভাসানচর নিয়ে গেছে।
বাবুর্চিরা জানান, যাত্রা শেষে রাতের জন্য মোরগ পোলাওয়ের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।