মোহাম্মাদ এনামুল হক এনা: ‘বাইরে ফিটফাট ভেতরে সদরঘাট’ প্রবাদ থেকে এবার বেরিয়ে আসছে সদরঘাট।
আন্তর্জাতিক মানের নৌবন্দর করতে শ্যামবাজার থেকে আহসান মঞ্জিল পর্যন্ত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও সবুজ বাগান করা হয়েছে।
ফুটপাত ও পল্টুন থেকে ভাসমান হকার ও কুলিদের দৌরাত্ম্য করা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ।
সদরঘাটসহ নদীর দুই পাশে পন্টুনের সংখ্যা ১৩ থেকে বাড়িয়ে ৩০টি করা হয়েছে।
নদীর ওপারে আগানগর, আলমনগরে বসানো হয়েছে নতুন তিনটি পন্টুন।
নৌকাডুবির মতো দুর্ঘটনা প্রতিরোধে নিরাপদ দূরত্বে তৈরি করা হয়েছে প্রতিটি ঘাট।
যাত্রীরা বন্দরে বসেই কাচের ঘরের ভেতর থেকে দেখতে পারে লঞ্চ আসা-যাওয়ার মুহূর্ত।
আছে ভিআইপি অপেক্ষমাণ কক্ষ ও শিশুকে মায়ের দুধ পান করানোর ব্যবস্থা।
প্রতিবন্ধীদের জন্যও রাখা হয়েছে বসার স্থান ও টয়লেটের ব্যবস্থা।
বন্দরের নিরাপত্তার জন্য ৩২টি পয়েন্টে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক তদারকি করা হয়।
যেকোনো সমস্যার সমাধানে দেশের যাত্রীদের জন্য দুটি হটলাইন নম্বর ও বিদেশিদের জন্য একটি হটলাইন নম্বরের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সদরঘাট এবং ওপারে কেরাণীগঞ্জে যাতায়াতের জন্য চালু হয়েছে ছয়টি ওয়াটারবাস।
সদরঘাটের ভেতরে ও বাইরের দোকান ভেঙে ফেলা হয়েছে।
লালকুঠি ঘাটের পাশে বসার জায়গা, বাগান, পার্কিং ইয়ার্ডের মধ্যে ওয়াকওয়ে, নদীর পারে ঝাউবাগান করা হয়েছে।
নদীর দুই ধার দখলমুক্ত করে লাগানো হয়েছে নানা প্রজাতির গাছ।
জীর্ণ হোটেলগুলো উচ্ছেদ করে আহসান মঞ্জিলের সামনের জায়গায় কৃষ্ণচূড়ার বাগান করা হয়েছে।
সরাসরি লঞ্চে না গিয়ে টিকিট কাউন্টার ও অনলাইনের মাধ্যমে টিকিটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এছাড়াও নৌবন্দরের ছাদে ‘বুড়িগঙ্গা ভিউ রুফ টপ গার্ডেন’ রেস্টুরেন্ট করা হচ্ছে।