মোহাম্মাদ এনামুল হক এনা: বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট, গ্যাস বিস্ফোরণ, দাহ্য পদার্থ ও রান্নাঘরের আগুনসহ প্রতিদিনই ঘটছে বড়ধরনের অগ্নিদুর্ঘটনা। আর এই দুর্ঘটনা এড়াতে হাইভোল্টেজ টেস্টিং ল্যাব স্থাপন করতে যাচ্ছে সরকার।
সম্প্রতি প্রকাশিত বিদ্যুৎ আইনের গেজেটে ৬২ ধারায় হাইভোল্টেজ টেস্টিং ল্যাব প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের শুদ্ধতা নিশ্চিতে নেই কোনো ব্যবস্থা। ফলে পণ্যের গায়ে লেখা ভোল্টেজ লেভেলের ওপরই নির্ভর করে চলতে হচ্ছে সবাইকে। বৈদ্যুতিক এই সরঞ্জামগুলোর অধিকাংশেরই ভোল্টেজের মাত্রা ঠিক নেই।
হাইভোল্টেজ টেস্টিং ল্যাব স্থাপনের পরে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের উৎপাদিত ট্রান্সফরমার এবং বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম এই ল্যাব থেকে পরীক্ষা করিয়ে সার্টিফিকেট নিতে হবে। ফলে ইলেকট্রনিক পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সরকারি কোষাগারে অর্থও জমা হবে। কারণ মান যাচাইয়ের জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে গুনতে হবে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে ২০১৯ সালে বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে ঘটে ৮ হাজার ৬৪৪টি দুর্ঘটনা। যা মোট অগ্নিকাণ্ডের ৩৯ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, হাইভোল্টেজ টেস্টিং ল্যাব স্থাপন করা গেলে বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের শুদ্ধতা নিশ্চিত করে পণ্যের গায়ে লেভেলিং করা হবে ফলে গ্রাহকরা বৈদ্যুতিক পণ্য কেনার সময় সচেতন থাকবে। এতে করে নিম্নমানের পণ্য ব্যবহারের কারণে অগ্নিদুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে যাবে।
মুজিববর্ষের মধ্যেই একটি বিশ্বমানের হাইভোল্টেজ টেস্টিং ল্যাব স্থাপনের বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।