বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নিয়ে বিতর্কিত বক্তৃতা দেয়া মাওলানা মামুনুল হককে হুঁশিয়ারি দিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেছেন, ‘আপনারা বুড়িগঙ্গার ধারে-কাছে আইসেন। সবকটাকে বুড়িগঙ্গায় ভাসিয়ে দেয়া হবে।’
বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত ‘উগ্র সাম্প্রদায়িক এবং স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি বিএনপি-জামাতের নাশকতা, জ্বালাও-পোড়াও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে’ এ কথা বলেন জয়।
তিনি আরও বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের ১৭ হাজার নেতাকর্মী শহীদ হয়েছিলেন, আমরা রক্ত দিতে জানি। সুতরাং ওই মাইকের সামনে বসে বড় বড় কথা না বলে মাঠে আসেন। এই মামুনুল হক জঙ্গিবাদ সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। জঙ্গিবাদকে যারা সামনে নিয়ে এগিয়ে যায়, এখনই তাদের লাগাম টানতে হবে। তাদের যে লেজ হয়েছে সেটি কেটে দেয়ার সময় এসেছে। তারা জাতির পিতার ভাস্কর্য নিয়ে কথা বলে। মূর্তি আর ভাস্কর্যের পার্থক্য তারা বোঝে না।’
ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ‘এই অসাম্প্রদায়িক দেশে কোনো সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে দাঁড়াতে পারবে না। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যে হাত দিয়ে সেবা করে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, সেই হাত দিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে হঠানোর জন্য একইভাবে কাজ করবে।’
ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘আজকে দেশের সমাজকে রক্ষণশীলতার চাদরে আবদ্ধ করার জন্য ষড়যন্ত্র আমরা দেখতে পাচ্ছি। একাত্তরে যাদের আমরা পরাজিত করেছি, আজকে তাদের আস্ফালন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে, মফস্বল শহরে দেখতে পাচ্ছি। আজকে তাদের উদ্দেশ্য করে শিক্ষার্থী হিসেবে বলতে চাই, বাংলা মায়ের কোলে আমরা যেমন শান্তিপ্রিয় শান্ত ছেলে হয়ে থাকতে জানি, ঠিক একরকমভাবে মৌলবাদ প্রতিরোধ আকাশ বজ্র হয়ে ঝরতে জানি।’