নামমাত্র মূল্যে করোনার ১০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন আনতে দুই প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ সরকার। সাধারণ মানুষের যার প্রতি ডোজের দাম পড়বে ১৩০-১৭০ টাকা। ২৫ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর।
এর মধ্যে-ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট দেবে ৩ কোটি ও জেনেভা ভিত্তিক আন্তর্জাতিক ভ্যাকসিন কমিটি গ্যাভি দেবে ৬ কোটি ৮০ লাখ ডোজ। আসন্ন জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যেই এ টিকা সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠান দুটি।
এর আগে মার্কিন ওষুধ কোম্পানি মর্ডানা ও ফাইজারের তৈরি ভ্যাকসিন আনার পরিকল্পনা করেছিল বাংলাদেশ। তবে সেগুলোর মূল্য ৩২-৩৭ ডলার। যার মূল্য দাঁড়ায় প্রায় সাড়ে ৩ হাজার টাকার মতো। তাই কম মূল্যের ভ্যাকসিন আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
বর্তমানে বাংলাদেশ গ্যাভি থেকে বিভিন্ন রোগের যে টিকা নিচ্ছে তার ১০ শতাংশ মূল্য সরকারকে পরিশোধ করতে হয়, বাকি ৯০ শতাংশ দেয় গ্যাভি। অন্যদিকে বন্ধু দেশ ভারতও নামমাত্র মূল্যে তাদের ভ্যাকসিন দিতে রাজি হয়েছে।
দেশের ১৬ কোটি ৫০ লাখ মানুষের জন্য করোনা ভ্যাকসিন কিনতে প্রয়োজন ২১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা। প্রত্যেকের দুই ডোজ করে টিকা লাগবে। একটি ডোজের ২৮ দিন পর আরেকটি ডোজ দিতে হবে।
সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৪ কোটি মানুষের ভ্যাকসিনের (দুই ডোজ করে) জন্য সরকার চুক্তি করেছে বলে জানা গেছে।
ভ্যাকসিন আনার পর পরই সেগুলো মাঠ পর্যায়ে দ্রুত প্রয়োগ করা হবে। আর সেগুলো কোল্ড চেইন মেনটেইন সংরক্ষণ, পরিবহন ও বিতরণ করা হবে। বাংলাদেশের ওষুধ কোম্পানি বেক্সিমকো সেগুলো মাঠ পর্যায়ে পৌঁছে দেবে।