মরণঘাতী ডেঙ্গুজ্বরের কার্যকর ওষুধের খোঁজ পাওয়ার দাবি করেছে বাংলাদেশি গবেষকরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ এইচ এম নুরুন নবী ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মৌসুমী সান্যালসহ ১২ জনের গবেষক দল যৌথভাবে একটি পরীক্ষা চালানোর পর এ দাবি করেন।
এ প্রসঙ্গে গবেষণা দলের প্রধান অধ্যাপক নুরুন নবী বলেন, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে রক্তের প্লাটিলেট কমে যায়। তাই ডেঙ্গু জ্বর হলেই রক্তের প্রয়োজন হয়। ওই মুহুর্তে রোগীর জন্য রক্ত জোগাড় করতে না পারলে রোগী মারা যায়।
ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসায় ঢাকা মেডিকেল কলেজের ডা. মৌসুমী সান্যাল একজন ডেঙ্গু রোগীর দেহে ‘এলট্রমবোপ্যাগ’ নামে একটি ওষুধ প্রয়োগ করেন। এতে পরদিনই ওই রোগী ভালো হয়ে যায়।
এর সুফল পাওয়ায় ডা. মৌসুমী একই ওষুধ আরো চারজন ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসায় প্রয়োগ করেন। এতে মোট পাঁচজনের মধ্যে দুজন ভালো ফল পান, দুজন মোটামুটি আর একজনের ফল আশানুরূপ পাওয়া যায়নি।
এরপর গবেষকরা ডা. মৌসুমীর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে আরো ১০১ জন ডেঙ্গু রোগীর ওপর এলট্রমবোপ্যাগ প্রয়োগ করে ওষুধটির ‘কার্যকারিতার প্রমাণ’ পান।
গবেষকরা জানান, ওষুধটির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে কি না তা নিয়ে গবেষণা চলছে। তবে এ পর্যন্ত তিন শতাংশের ক্ষেত্রে ডায়রিয়ার মতো কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে।
ডেঙ্গু হলেই সবাইকে যাতে রক্তের জন্য দৌড়াতে না হয় এটিই ছিল গবেষণার উদ্দেশ্য বলে জানান গবেষকরা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কয়েক বছর ধরে ডেঙ্গুর আক্রমণে ঢাকাবাসী জর্জরিত। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৬৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৯৭৩ জন ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।