শিক্ষা, চিকিৎসা, কর্মসংস্থান এবং সামাজিক মান উন্নয়নসহ ভাসানচরে মোট ১৮টি উন্নত সেবা পাবে রোহিঙ্গারা।
সেবাগুলো মধ্যে থাকছে- উন্নত ও টেকসই আবাসন, পর্যাপ্ত সুপেয় পানির ব্যবস্থা, পরিবেশসম্মত সেনিটেশন সুবিধা।
এখানে রেশন কার্ডের মাধ্যমেই খাবার মিলবে রোহিঙ্গাদের। সেই সাথে থাকবে খাদ্য সংরক্ষণ ও সরবরাহ ব্যবস্থাও। নিরবচ্ছিন বিদ্যুৎ সরবরাহের পাশাপাশি এখানে রোহিঙ্গারা পাবেন উন্নত ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ।
এছাড়া, ভাসানচরে মানব ও মাদক পাচার বন্ধসহ উন্নত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং বিকল্প রান্নার ব্যবস্থাও থাকছে। এখানে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ও টেলিযোগাযোগের সুবিধাও পাবেন রোহিঙ্গারা।
এখানকার স্কুলগুলোতে রোহিঙ্গা শিশুদের দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ানো হবে। তবে এক্ষেত্রে মিয়ানমারের সিলেবাস প্রযোজ্য হবে। একই সঙ্গে ধর্মীয় শিক্ষার সুযোগও রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ভাসানচরে বেশ কয়েকটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে নৌবাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসন। এর মধ্যে রয়েছে- মৎস্য চাষ, দুগ্ধ খামার, ধান ও সবজি চাষ, হস্তশিল্প, মহিলাদের জন্য সেলাই কাজ, ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টার ইত্যাদি।
ইতোমধ্যে বিশাল আকারের লেক তৈরি করে সেখানে রুই, কাতলা, পাঙ্গাশ ও তেলাপিয়ার চাষ করা হচ্ছে।
স্থানীয় মুরগি, টার্কি মুরগি, রাজ হাঁস, দেশি হাস, কবুতর, মহিষ ও ভেড়াপালন করা হচ্ছে।
ইতোমধ্যে ১০ হাজার মহিষ ও শতাধিক ভেড়া রয়েছে সেখানে। এসব মহিষ ও ভেড়া মাংস ও দুধ বাজারজাত করা হবে। পাশাপাশি ধান, বিভিন্ন ধরনের সবজি, ড্রাগনসহ উন্নতজাতের ফল চাষ শুরু হয়েছে।