আগামী বছর থেকে দেশের প্রতিটি শিশুর জন্মের পরই তাকে একটি আইডি নাম্বার দিয়ে দেয়া হবে।
একজন নাগরিক আমৃত্যু ওই একটি নম্বরে চিহ্নিত হবেন। তাঁকে আর একাধিক নম্বর মনে রাখতে হবে না।
এই পরিচিতি নম্বরকে বলা হচ্ছে ইউনিক আইডি বা ইউআইডি। ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ইউআইডি নম্বর প্রদানের কাজ চালু হচ্ছে।
এটি একই সঙ্গে জন্ম নিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়, পাসপোর্ট, করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টসহ আরো অনেক কিছুর নম্বর।
ওই ইউনিক আইডি নম্বর বহাল রেখেই একটি শিশুর বয়স ১০ বছর পূর্ণ হলেই তাকে এনআইডি কার্ড দেওয়া হবে।
১০ বছর পূর্ণ না হলে একটি শিশুর আঙুলের ছাপসহ অন্যান্য বায়োমেট্রিক পূর্ণতা পায় না বলেই এনআইডি কার্ড পেতে তাকে অপেক্ষায় থাকতে হবে।
তবে ইউনিক আইডি নম্বরের মাধ্যমে ১০ বছরের নিচের শিশুরা এনআইডির সুবিধা ভোগ করতে পারবে।
এরই মধ্যে যাঁদের বয়স ১৮ বছরের ওপরে অর্থাৎ যাঁরা নিবন্ধিত হয়েছেন, তাঁদের ইউআইডি নম্বর তৈরি হয়ে গেছে।
যাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে এবং যারা এখনো ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হয়নি তাদের নির্ধারিত পদ্ধতিতে ইউআইডি দেওয়া হবে।
এই ব্যবস্থার ফলে জন্মের পর থেকে ১৮ বছর বয়সী একটি জনগোষ্ঠীকে একটি ডাটাবেইসের আওতায় আনা সম্ভব হবে।
এর ফলে কিশোর অপরাধ কমানোও সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন সংশিষ্টরা।