জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে যাওয়ার প্রস্তাব সম’র্থন করে না নির্বাচন কমিশন। সংস্থাটি বলছে, এই কার্যক্রম ইসির বাইরে গেলে ভোটার তালিকা নিয়ে জটিলতা তৈরি হতে পারে। এমনকি ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আরো বেশি সমস্যার মুখোমুখি হতে পারে।
জাতীয় পরিচয়পত্র নির্বাচন কমিশনের অন্যতম একটি উদ্যোগে। ২০০৮ সালে দেশে প্রথমবারের মত প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক কিংবা ভোটারদের ছবি-স্বাক্ষর সম্বলিত পরিচয় পত্র দেয়ার কার্যক্রম শুরু হয়। জাতীয় এই তথ্য ভাণ্ডারে যু’ক্ত স্মা’র্ট’কার্ড এনআইডি। ইসির এই অর্জন কিছুটা ম্লান করে দেয় ভোটার তালিকায় কয়েকজন রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ। ডা. সাবরীনা কিংবা সাহেদের মত প্রতারণা মা’মলার আসামীদের জাল এনআইডি ইস্যুতেও সমালোচনার মুখে নির্বাচন কমিশন। যদিও ইসি বলছে, ১১ কোটি ভোটারের আনুপাতিক হারে অনিয়মের চিত্র খুবই যৎসামান্য।
সম্প্রতি জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে নিজেদের অধীনে নেয়ার প্রস্তাব দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রস্তাব পর্যালোচনার জন্য পাঁচ সদস্যের কমিটিও গঠন করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। যদিও এ বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি নির্বাচন কমিশনকে।
এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন চোধুরী বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। পত্র পত্রিকায় দেখেছি। এর বেশি কিছু আমি অবগত নই।
এনআইডি অন্য কারো হাতে গেলে এর ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের ঘাটতি তৈরি হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন এই নির্বাচন কমিশনার।
তিনি বলেন, এটা কিভাবে চালাতে হয় সে ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন এখন যথেষ্ট অ’ভিজ্ঞ। এটা অন্যদের হাতে চলে গেলেও নানা প্রয়োজনেই এই ডাটাবেজ আমাদেরকে রাখতেই হবে। আম’রা কখনোই চাই না, এ ধরনের তালিকা অন্য কোনো সংস্থা থেকে আমাদেরকে আনতে হোক।
তবে এনআইডি নিয়ে সরকার চাইলে যেকোনো পদক্ষেপ নিতে পারে বলেও মত নির্বাচন কমিশনের।