পিরামিড হলো পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি গবেষণা হওয়া একটি স্থাপণা। আর এ নিয়ে যারা গবেষণা করেন, তাদের বলা হয় পিরামিডলজিস্ট। বর্তমান পিরামিডলজিস্টরা বলছেন, পিরামিডের অদ্ভদ চৌকোনাকৃতির গঠনের মধ্যে লুকিয়ে আছে মহাজাগতিক রশ্মি শোষণ করার ক্ষমতা। স্পেক্ট্রোগ্রফ ক্রিটিং নামের একটি পরীক্ষায় দেখা গেছে পিরামিড চারিদিকে যে নির্দিষ্ট কোণ তৈরি হয় তার মান ৫১ ডিগ্রি। আর এই কোনগুলো কসমিক এনার্জি সৃষ্টি করে।
কি হয় এই এনার্জি দিয়ে?
বিজ্ঞানীরা বলছেন এই কসমিক এনার্জি তৈরী করে নেগেটিভ আয়ন। আমাদের জন্য বয়ে আনে নানান উপকার।
বিল কেরেল নামের এক গবেষক পিরামিড এর উপর ১৭ বছর ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছেন পিরামিড এর মধ্যে রাখা খাদ্য তিনগুণ বেশি সতেজ থাকে। দীর্ঘদিনেও খাদ্যদ্রব্যের আণবিক গঠনের কোন পরিবর্তন হয় না। এমনকি খাদ্যের গুণমানও বৃদ্ধি পায়।
বিল কেরেল পিরামিডের মধ্যে এক ধরনের সামুদ্রিক চিংড়ির উপর পরীক্ষা করেন। সাধারণত এই ধরনের সামুদ্রিক চিংড়ি ছয় থেকে সাত সপ্তাহ বাঁচে। কিন্তু পিরামিডে এই চিংড়িগুলো এক বছরেরও বেশি সময় বেঁচে থাকছে। এছাড়াও এই চিংড়িগুলো তাদের স্বাভাবিক আকার এর চেয়ে তিনগুণ বেশি বৃদ্ধি পেয়েছিলো।
এরপর তিনি মানুষের উপরও বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেন। তিনি আবিষ্কার করেন যে, উচ্চ রক্তচাপজনিত ব্যক্তিরা পিরামিডের মধ্যে কিছুদিন থাকার পর তাদের রক্তচাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছে।
এছাড়া পিরামিডের মতো কোন বাসায় ধ্যান বা গবেষণার কাজ করলে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া অনুভূত হয়।
বিজ্ঞানীরা বলছেন নেগেটিভ আয়ন আমাদের শরীরের কোষের পুনরুৎপাদন ও মেরামতিতে সাহায্য করে। এটি বায়ুর মাধ্যমে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে এবং রক্তের মাধ্যমে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং এইভাবে নেগেটিভ আয়ন আমাদের শরীরের উপর উপকারী প্রভাব বিস্তার করে।
গবেষণায় দেখা গেছে যে, পিরামিড এর মধ্যে এ নেগেটিভ আয়ন তৈরি হয়। পিরামিড আমাদের মস্তিষ্কের পিনিয়াল এবং পিটুইটারি গ্রন্থি সক্রিয় তা বাড়িয়ে দেয়। এছাড়াও অল্প সময়ের জন্য পিরামিডের মধ্যে থাকলে মানুষের মাথা ব্যথা কমে।
নিউরোলজিস্টরা বলছেন পিরামিডের মধ্যে মেডিটেশন করলে তার ফলাফল অনেক বেশি পাওয়া যায়। পিরামিড মনস্তাত্ত্বিক ক্ষমতাগুলোকে বৃদ্ধি করতে পারে।