এই প্রজন্মের তরুণ-তরুণীরা প্রাচীন শাস্ত্রীয় সংগীত তেমন পছন্দ না করলেও উদ্ভিদরা এই আদ্যিকালের সংগীতটি বেশ পছন্দ করে। বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে বের করেছেন এই তথ্য। শুধু তাই নয়। সংগীতের আশেপাশে থাকলে তাদের বৃদ্ধিও দ্রুত হয়।
৭০ দশকের দিকের গবেষণায় দেখা গিয়েছিল যে উদ্ভিদ গানের সাথে বেশ ভালো সাড়া দেয়। বিভিন্ন ধরনের গানের সাথে উদ্ভিদের মাঝে বিভিন্ন ধরনের প্রভাব পড়ে। বর্তমানে বিজ্ঞানীরা গভেষণা করে দেখেছেন উদ্ভিদ ক্লাসিক্যাল এবং ভারতীয় শাস্ত্রীয় গানের সাথে বেশি সাড়া দেয়। একটি নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে উদ্ভিদ প্রচুর বৃদ্ধি পায় এবং মূলের ভাল উন্নয়ন ঘটে।
গবেষণা বলছে, কান্ট্রি মিউজিক ও নিস্তব্ধতায় উদ্ভিদের তেমন বৃদ্ধি চোখে যায় না। পক্ষান্তরে জ্যাজ মিউজিকগুলোতে উদ্ভিদ বেশি সাড়া দেয়। রক মিউজিকে উদ্ভিদগুলো মৃত পর্যায়ে চলে যায় এবং কেবল মাত্র হোয়াইট নয়েজ (রেনডম সিগন্যাল) এ উদ্ভিদগুলো দ্রুত মারা যায়।
সম্প্রতি গবেষকরা ধান গাছে এমন এক জীন পেয়েছে যা Beethoven’s Moonlight Sonata নামক বিশেষ মিউজিক এর সাথে বেশি সাড়া দেয়। জীনগুলো বেশি সক্রিয় থাকে ১২৫Hz থেকে ২৫০Hz কম্পাংকের মাঝে থাকলে যেখানে ৫০Hz কম্পাংকে থাকলে উদ্ভিদ কম সাড়া দেয়।
গবেষণায় আসা ফলাফল কিছুটা সন্দেহপ্রবণ। কিন্তু বেশ কিছু কারণে জীন আরো ভাবপূর্ণ বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে। এজন্য আলো এবং অন্ধকারের মধ্যে রেখে আরো বেশি পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে। যেন একসময় আমরা এটার সম্পূর্ণ ব্যাখ্যা জানতে পারি।