মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফওজিয়াকে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগের প্রশ্নে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এতে অধ্যক্ষ হিসেবে ওই ব্যক্তিকে নিয়োগ দিয়ে জারিকৃত প্রজ্ঞাপন কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন ডিভিশন বেঞ্চ ১৭ সেপ্টেম্বর এই আদেশ দেন। তবে নিয়োগের ওপর আদালতের কোনো স্থগিতাদেশ না থাকায় অধ্যক্ষ হিসেবে ফওজিয়ার কাজে যোগ দিতে কোনো বাধা নেই বলে জানান অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এদিকে হাইকোর্টের আদেশের পরই অধ্যক্ষ পদে যোগদান করেন ফওজিয়া। ঢাকার সবুজবাগ সরকারি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব পালনরত ফওজিয়াকে প্রেষণে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভিকারুননিসার নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দিয়ে রবিবার প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এই নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী ইউনূছ আলী আকন্দ। আবেদনের পক্ষে আবেদনকারী নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ২০০৯ সালের রেগুলেশনে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের ক্ষমতা পরিচালনা পর্ষদের হলেও সেখানে অধ্যক্ষ নিয়োগের বিষয়ে বলা নেই। শুধু শিক্ষক-কর্মচারীর কথা রয়েছে। স্কুল-কলেজের বেতনসহ সব কিছুই সরকার থেকে দেওয়া হয়। অথচ গভর্ণিং বডি মাঝখানে এসে মাতব্বরি করছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি বাণিজ্য ও অরাজকতার সৃষ্টি হচ্ছে। আদালত বলেন, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এভাবে যদি নিয়োগ দেওয়া হয় তবে অরাজকতার সৃষ্টি হতে পারে। সরকার যদি এরকম নিয়োগ দিতে চায় তবে নীতিমালা করলেই পারে।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এই প্রতিষ্ঠানটিতে যত অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তার প্রায় সকলেই ছিলেন ভারপ্রাপ্ত। সরকার অরাজকতা থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে বাঁচাতেই এই নিয়োগ দিয়েছে। আদালত বলেন, সরকারে যে উদ্দেশ্যই থাকুক না কেন সেটা আইন অনুযায়ী হচ্ছে কিনা সেটাই দেখার বিষয়। শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুল জারি করে।