কথায় আছে, “চিরদিন কাহারও সমান নাহি যায়”। ব্লুমবার্গ বিলিওনেয়ারস ইনডেক্সের গত ৭ বছরের ইতিহাসে এমন কখনো হয়নি যে বিল গেটস বিশ্বের সমৃদ্ধশালী ব্যক্তিদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানেরও নিচে নেমে গেছেন। তবে সেই অঘটনই ঘটালেন ফ্রান্সের বার্নার্ড আরনল্ট।
মাইক্রোসফট ক্রপের সহ প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসকে তৃতীয় স্থানে নামতে বাধ্য করে সমৃদ্ধশালীদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন তিনি। আর বিল গেটসের এমন ‘পিছিয়ে পড়ার’নেপথ্যে তার কোটি কোটি ডলার দান।
বিলাসবহুল পণ্য প্রস্তুতকারক এলভিএমএইচ এর মালিক বার্নার্ড আরনল্ট ১৬ জুলাই তাঁর নেট আয়ের পরিমাণ ১০৭.৬ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার রেকর্ড গড়েন এবং গেটসের আয়ের হিসাবে তাঁর থেকে ২০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি অঙ্কে এগিয়ে যান।
১৫ জুলাই ওই কোম্পানির শেয়ার আরও লাভ বাড়িয়েছে, প্যারিসের স্থানীয় সময় দুপুর ১টা বেজে ৫৪ মিনিটে তাঁদের ০.৭ শতাংশ শেয়ার বৃদ্ধি হয়। আরনল্ট একাই ৩৯ বিলিয়ন ডলার উপার্জন করে ২০১৯-এ এককভাবে সবচেয়ে লাভবান ব্যক্তি হন, এবং ব্লুমবার্গের সেরা ৫০০ জন সমৃদ্ধশালী ব্যক্তির তালিকায় নিজেকে দ্বিতীয় স্থানে তুলে নিয়ে আসেন।
সমৃদ্ধশালীদের ওই তালিকায় ৭০ বছরের আরনল্টের আগে আছেন অ্যামাজন ডটকম ইনকর্পোরেটেডের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস, বর্তমানে তিনি বিশ্বের সেরা বড়লোক। গত মাসেই ওই ধনকুবেরের সম্পদে একচেটিয়া অর্থ যোগ হয়, যখন প্রথমবারের মত তাঁর আয় ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। এদিকে আরনল্টের পরে সমৃদ্ধশালীদের তালিকায় রয়েছেন বিল গেটস।
বর্তমানে বিশ্বের তৃতীয় ধনকুবের বিল গেটস প্রচুর পরিমাণে আর্থিক সাহায্য করে থাকেন নানা সংস্থাকে। এ পর্যন্ত ৩৫ বিলিয়ন ডলার দান করেছেন তিনি। যদি ওই মোটা অঙ্কের টাকা আর্থিক অনুদান হিসাবে না দিতেন তাহলে হয়তো বিল গেটসই এখনও বিশ্বের ধনকুবেরদের তালিকায় শীর্ষস্থানে থাকতেন। তবে মানুষের জন্য কাজে মজে যাওয়া বিল গেটস এসব তালিকাকে এখন হয়তো আর পাত্তাই দেন না।