দীর্ঘ ৪৪ বছর অপেক্ষার অবসান হয় ইংল্যান্ডের৷ ১৯৭৫ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতেই শুরু হয়েছিল ক্রিকেট বিশ্বকাপের যে অধ্যায়, সেটা এতদিনে এসে পূর্ণতা পায় ব্রিটিশদের কাছে৷ চার বার বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠে অবশেষে আসে সাফল্য৷ বিশ্বকাপের দ্বাদশ আসরে এসে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের সারিতে জায়গা করে নেয় ইংল্যান্ড৷
হাতের তালুর মতো চেনা লর্ডসের সবুজ গালিচায় কম রানের পুঁজি নিয়েই ব্ল্যাক ক্যাপসরা দুরন্ত লড়াই চালায়৷ তবে শেষ রক্ষা করতে পারেনি৷ ম্যাচ ও সুপার ওভারে দু-দু’বার স্কোর লেভেল করেও বাউন্ডারি সংখ্যার হিসাবে পরাজিত হয়ে পর পর দু’টি বিশ্বকাপের রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় কিউইদের৷ ভাগ্যের সহায়তায় ইংল্যান্ড প্রথমবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়ে ইতিহাস গড়ে৷
মূল ম্যাচ টাই হওয়ার পর ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ফাইনাল গড়লো সুপার ওভারে, তারপর সেখানেও টাই। শেষ পর্যন্ত মূল ম্যাচে বাউন্ডারিতে এগিয়ে থাকায় জয়ী ইংল্যান্ড। রোমাঞ্চকর এক বিশ্বকাপ ফাইনাল দেখলো বিশ্ব।
নিজের ও রাজপুত্র ফিলিপের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানিয়ে এক বিবৃতিতে রানি বলেন, ‘প্রিন্স ফিলিপ ও আমার পক্ষ থেকে ইংল্যান্ড পুরুষ দলের এমন রোমাঞ্চকর বিশ্বকাপ জয়ের জন্য উষ্ণ অভিনন্দন জানাচ্ছি।’
নিজের দলকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি নিউজিল্যান্ডের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেন রানি। বলেন, ‘এছাড়াও আমার সহমর্মিতা রইলো রানার্স আপ নিউজিল্যান্ডের প্রতি। যারা অত্যান্ত দায়িত্ব ও পরিশ্রমের সঙ্গে খেলাটি শেষ করেছেন।’
ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করে ২৪১ রান করে নিউজিল্যান্ড। টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ২৪১ রানেই থামে ইংল্যান্ড। ম্যাচ সুপার ওভারে গড়ালেও স্কোর সমান- দুদলেরই সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৫ রান করে। শেষ পর্যন্ত বাউন্ডারির হিসাবে বিজয়ী হন ইংলিশরা। স্বপ্নভঙ্গ হয় কিউইদের।